পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় বিগত ২০১৮/১৯ইং অর্থ বছরে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওয়তায় ১২টি ইউনিয়নে ১৪টি সেতু ও কালভার্ট নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে।
মোট ১৪টি সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় করা হয়েছে ৪ কোটি ৪৭ লক্ষ ২২ হাজার টাকা বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস.এম দেলোয়ার হোসাইন। সেতু ও কালভার্টগুলো হল- চিকনিকান্দী ইউনিয়নে ৭নং ওয়ার্ডে পানখালী ও কচুয়া ৬নং ওয়ার্ডে খালে ৩৬ ফুট দৈর্ঘ্য সেতু, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বাশঁবুনিয়া নূরানী তালীমুল কোরআন মাদ্রাসা খালে ৩৬ ফুট সেতু, একই ইউনিয়নের ৩ ও ৭ নং ওয়ার্ডের মাঝে তুলারাম খালের উপর ৩৬ ফুট সেতু, চরবিশ্বাস ইউনিয়নের মুন্সী বাড়ির খালের উপর ৩৬ ফুট সেতু, আব্দুল চৌধুরী বাড়ীর পশ্চিম ও উত্তর পার্শে¦ ছিরার খালের উপর ৩৬ ফুট সেতু, গোলখালী ইউনিয়নের গাব্বুনিয়া গাজী বাড়ির খালের উপর ৩৬ ফুট সেতু, বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ছোনখোলা ৯নং ওয়ার্ডের জব্বার গাজীর বাড়ির লোচন খালের উপর ৩৬ ফুট সেতু, গলাচিপা ইউনিয়নের কালিকাপুর মাদ্রাসার পার্শ্বে খালের উপর ৩৬ ফুট সেতু, গজালিয়া ইউনিয়নের মোস্তফা মোল্লা বাড়ির খালের উপর ৩৬ ফুট সেতু, চরকাজল ইউনিয়নের ছোটশিবা জয়নাল হাওলাদার খালের উপর ৩৬ ফুট সেতু, ৩নং ওয়ার্ডের মাটি ভাঙ্গা খালের বাদ সংলগ্ন খালের উপর ৩৬ ফুট সেতু এবং পানপট্টি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সেন্টু খানের বাড়ির সংলগ্ন খালের উপর ৩০ ফুট দৈর্ঘ্য।
সরজমিনে বেশকিছু এলাকায় ঘুরে দেখা গিয়েছে বিস্তির্ণ ও দূর্গম এলাকা এখন জনসাধারণ অনায়াসে চলা ফেরা করতে পারছে। যেখানে আগে বাশেঁর সাঁকো, আর ছোট ছোট খেয়া পারাপার করে যাতায়াত করতো। এখন পাকা সেতুবন্ধন হওয়াতে জনসাধারণ স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র/ছাত্রী, অসুস্থ জনসাধারণ খুব দ্রুতই যোগাযোগ করতে দেখা গিয়েছে।
এবিষয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সাথে আলোচনা করে জানা গেছে ২০১৮ইং ও ২০১৯ইং সালের অর্থ বছরের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধিনে সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের নানা মুখী উন্নয়ন হয়েছে। এছাড়াও উন্নয়নের কাজ চলামান রয়েছে। এবিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস.এম দেলোয়ার হোসাইন জানান, বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধিনে সেতু/ কালভার্ট প্রকল্পের আওতায় উপজেলায় ৪ কোটি ৪৭ লক্ষ ২২ হাজার ৬ শত ৬৮ টাকা বরাদ্ধ হয়।
তিনি আরও জানান, প্রতিটি প্রকল্পে পরিদর্শনে দেখা যায় প্রকল্প গুলো ডিজাইন অনুযায়ী সেতু নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়েছে এবং সে সকল সেতু দিয়ে জনসাধারণ সহ যানবাহনও চলাচল করছে। এছাড়া বর্তমান কোরনাভাইরাস মহামারী দূর্যোগের কারনে অর্থ বরাদ্দকৃত ফান্ড সল্পতায় সকল ব্রীজের ফান্ডে অর্থ বরাদ্দ দেয়া সম্ভব হয়নি।
এসকল প্রকল্পের ১৪টি সেতুর মধ্যে ৮টি প্রকল্পের বিল দেয়া হয়েছে এবং বাকি ৬ টি প্রকল্পের বিল আশা করছি উপরি মহলের তদবিরে চলতি বছরের জুলাই মাসে চুড়ান্ত বিল দেয়া সম্ভব হবে বলে তিনি জানান। প্রকৃতি ও মাহামারী করোনাভাইরাস দূর্যোগের মধ্যে গ্রামীণ উন্নয়নে সার্বিক ভাবে আমাকে সহযোগীতা করার জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মু. শাহিন শাহ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. রফিকুল ইসলাম এর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস,এম দেলোয়ার হোসাইন।